স্বল্প খরচের মধ্যে মনোরম পরিবেশে ঘুরে আসার মতন স্থান হলো দিঘা। বাঙালি একটুখানি ছুটি পেলেই দীঘায় সমুদ্র সৈকতে ছুটে চলে যায়। সেই দিঘার মাথাতেই জুড়েছে এখন নতুন মুকুট। সেটি হল মেরিন ড্রাইভ। এছাড়াও আরো নানান রকম আকর্ষণীয় জিনিস যুক্ত হয়েছে। পূজোর ছুটিতেই দীঘায় বাড়তে চলেছে পর্যটকদের ভিড় এমনই জানাচ্ছেন দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে পর্যটকদের সংখ্যা এমনই অনুমান করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূজার আগেই দীঘার এই মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করছেন। পুজোয় এই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করে তিনি সকল পর্যটকদের আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের জন্য মোট ১৭৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনি এবং শংকরপুরকে একই সুতোয় বেঁধে দিয়েছে ২৯.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই মেরিন ড্রাইভ। পর্যটকদের কাছে এবার দিঘার প্রধান আকর্ষণই হলো এখন মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভের আদলে তৈরি এই রাস্তা।
পুজোর সময় পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণই হতে চলেছে এই মেরিন ড্রাইভ। ডিএসডিএ-র একজিকিউটিভ অফিসার মানস কুমার মন্ডল জানিয়েছেন ,”এই যাত্রাপথের শুরুতেই বিশালাকার জলাশয় রয়েছে দিঘার গেটের পরেই।”এখানে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে থাকে। চম্পা নদীর মোহনা একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে। আরেকটু সামান্য সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা যাবে নায়ে কালীমন্দির। এই মন্দিরের সামনে চলছে লেজার শো।
তিনটি সেতুও রয়েছে এই মেরিন ড্রাইভে। পুরো রাস্তা সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। এছাড়াও পথবাতি বসানো হয়েছে সেখানে। ২০ থেকে ২৫ লক্ষ পর্যটক এই সময় দিঘার হোটেলে আশ্রয় নেন। দীঘা উন্নয়ন পরিষদ অনুমান করছেন, মেরিন ড্রাইভের টানে সেই সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।