কেন যমজ সন্তান হয়? এর পিছনের কারণ শুনলে চমকে যাবেন

Spread the love

ঋতুচক্রের সময় নারীর শরীরে সাধারণত উৎপন্ন হয় একটি ডিম্বাণু ,কিন্তু কোন সময় দুটি ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়ে গেলে তা যনমজ সন্তান জন্মানোর প্রধান কারণ হিসেবে গণ্য হয়। একসাথে দুটি শিশু জন্ম নিলে তাদের বলা হয় যমজ। এই যমজ শিশুর পিছনে রয়েছে অনেক অজানা রহস্য। অনেক সময় একসাথে একাধিক শিশুর জন্ম হয়।

এদেরকেই যমজ বলা হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এদের বৈশিষ্ট্য সবার একই রকম হয় না। সাধারণত ঋতুচক্রের সময় নারীদের শরীরে একটি ডিম্বানু উৎপন্ন হয়। কিন্তু কোনো কারণে দুটি ডিম্বাণু উৎপন্ন হওয়ার জন্য যমজ সন্তানের জন্ম হয়। আবার ডিম্বাণু দুইভাগে বিভাজিত হয়ে গেলেও যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে। তিন ধরনের যমজ সন্তান দেখতে পাওয়া যায় চিকিৎসাশাস্ত্রের অনুসারে।

ভিন্নধর্মী যমজ:

এদের ক্ষেত্রে আকৃতি থেকে শুরু করে গায়ের রং ,চোখ এমনকি চুলের রং আলাদা হতেও পারে। তবে রক্ত আলাদা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এরা আলাদা ভ্রুণঝিল্লি থাকে। সাধারণত এই ক্ষেত্রে একটি মেয়ে ও অন্যটি ছেলে হয়। এই ভ্রূণ দুটি একই জায়গার পরিবর্তে আলাদা প্লাসেন্টা থেকে পুষ্টি পেয়ে থাকে। যেসব দম্পতিরা নিজেরাও যমজ হন তাদের এই যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এরকম যমজ:

একই ভ্রুণ থেকে উৎপন্ন হয়। পুষ্টিপ্রাপ্ত ডিম্বাণু বিভাজিত হয়ে দুটি আলাদা ভ্রুনের সৃষ্টি করে। এরা এক ভ্রুণঝিল্লিতে অবস্থান করে। একই লিঙ্গের হয় এবং একই জায়গা থেকে পুষ্টি ও অক্সিজেন পায়। এদের রক্তের গ্রুপ ও একই হয় এবং মুখের আদল ,চুল কিংবা চোখের রং একই হয়। শুধু তফাৎ থাকে বুড়ো আঙ্গুলের ছাপের।

যুক্ত জমজ:

ডিম্বাণু অসম্পূর্ণভাবে বিভাজিত হলে যমজের দেহ একসাথে যুক্ত থাকে। এদের বলা হয় ‘সায়ামিজ টুইন।’অনেক সময় অপারেশনের মাধ্যমে তাদের শরীর আলাদা করা গেলেও অনেক সময় আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।


Spread the love

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *