কিছুদিন পরেই আসতে চলেছে বাঙ্গালীদের প্রিয় উৎসব কালীপুজো। কত রকমের কত গল্প বাতাসে ছড়িয়ে থাকে বছরের এই সময়টাকে নিয়ে। এই সময়টা চারিদিকে একটা গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি করে থাকে। সে ভূত চতুদর্শী হোক বা বিদেশিদের Halloween। সব তারকারাও এই সময়টা মেতে ওঠেন হ্যালোইন সেলিব্রেশানে। হ্যালোইন উদযাপন বর্তমানে একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যালোইন মানে হল মহাপুরুষদের দিন। এই হ্যালোইন উদযাপন প্রথমে পশ্চিমি দেশগুলোতে শুরু হলেও বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়ে হ্যালোইন সেলিব্রেশন হয়।
একটা ভুতুড়ে ছোঁয়া যেন একটা গা ছমছমে ব্যাপার সবকিছুতেই লেগে রয়েছে। ছোট থেকে বড় সকলেই সেজে ওঠে নানা রকম রংবেরঙের পোশাকে। তাদের সেইসব পোশাকেও থাকে ভৌতিক ছোঁয়া। আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এই উৎসবটি প্রাচীন আর্যদের উৎসব যা ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকায় ফসল কাটার শেষ দিনে উদযাপন করা হয়। ৩১ অক্টোবর উদযাপিত হয় এই উৎসবটি। এই উৎসবটি ‘অল সেন্টস ইভ’ নামেও জনপ্রিয়।
বর্তমানে এটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে ,ইতিহাস ঘাটলে অবশ্যই এর কিছু উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া গেলেও যেতে পারে। খুব কম মানুষই জানেন যে এই হ্যালোইন উৎসবটির একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। এই হ্যালোইন শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো ‘পবিত্র সন্ধ্যা’। এই দিনটিতে মহাপুরুষদের স্মরণ করা হয়ে থাকে। মানা হয় এই দিনটিতে যেসব আত্মাদের মুক্তি হয়নি তাদের মুক্তির জন্যই প্রার্থনা করা হয়।
হ্যালোইনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল কুমড়ো। এই দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার চোখ রাখলে দেখা যাবে বহু মানুষ তাদের ঘরবাড়ি সাজিয়েছেন কুমড়ো দিয়ে। আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান দেশ গুলিতে গ্রীষ্মের শেষ এবং শীতের শুরুর দিকে অনেক রকম রোগের প্রকোপ দেখা দিত। সেই সময় অপদেবতাদের ক্ষেত থেকে দূরে রাখার জন্য কুমড়োর ভেতর আলো জ্বালিয়ে রাখার প্রথা শুরু হয়। এই প্রথাই বর্তমানে হ্যালোইন নামে পরিচিত।