বাঙালির কাজের মাঝে একটু ছুটি পেলেই হল, ব্যাগপত্র গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়বে। অল্প কিছুদিনের ছুটি কাটাতে হলেই সবার আগে মাথায় আসে, দীঘা পুরী বা দার্জিলিং এর কথা। বর্তমানে দীঘা, পুরী মানুষের ভিড়ে গিজগিজ করছে। দীঘা, পুরী তো অনেক হলো। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো অন্য একটি অফবিট ডেস্টিনেশনের বিষয়ে। ডেস্টিনেশনটি হল মেদিনীপুরের বাঁকিপুট। একটুখানি শান্তির আশ্রয় পেতে অল্প কিছুদিনের ছুটিতে দুজনে মিলে একটু নিরালায় সময় কাটাতে চান, তাহলে আপনাদের জন্য একদমই উপযুক্ত স্থান হল বাঁকিপুট।
এই ডেস্টিনেশনটিকে একেবারে নির্জন বললে ভুল হতে পারে, এখানে আপনার সঙ্গী হতে পারে দূরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে এমন কোন মৎস্যজীবী অথবা লাল কাঁকড়ার দলও। এখানে খোলা নীল আকাশের নিচে বিস্তৃত সমুদ্রের পাড়ে বসে দেখতে পারবেন সমুদ্রের চারপাশের অপরূপ মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানকার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হল কপালকুণ্ডলার মন্দির।
এছাড়াও পাশেই ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন পেটুয়াঘাটের মনোরম সুন্দর দেশপ্রাণ ফিশিং হারবারে। এখানে রসুলপুর নদী মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। সমুদ্র নদীর মিলনে গোটা পরিবেশটাই স্বর্গীয় পরিবেশে পরিণত হয়েছে। আপনি যেকোনো দীঘা গামী ট্রেন থেকে কাঁথিতে নেবে, কাঁথি থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার পথ গেলেই পৌঁছে যাবেন বাঁকিপুট।
Beauti Tips: মাত্র একবার চুমু খেলেই বাড়বে ত্বকের দারুণ জেল্লা! কিভাবে দেখুন
OLD Note: ১০০ টাকার নোটের বদলে রাতারাতি হয়ে যান কোটিপতি! কিভাবে জেনে নিন
কম বয়সি ছেলেরা কেনো বৌদিদের প্রতি আকৃষ্ট হয়? কারণ শুনলে চমকে যাবেন
জায়গাটি যেহেতু মোহনার একদম কাছে অবস্থিত তাই সবসময় আপনি সমুদ্রকে কাছে পাবেন না। কিন্তু জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল একেবারে কাছে চলে আসে। দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকিপুট থেকে কাছাকাছি বগুড়ান জলপাই গ্রাম থেকে। এছাড়াও দরিয়াপুরের ৯৬ ফুট উঁচু বাতিঘরে ভ্রমণ করতে যেতে ভুলবেন না। বিস্তৃত সমুদ্রের জলরাশির অসাধারণ মনোরম সৌন্দর্য আপনি এখান থেকেই দেখতে পারবেন। তাই শীঘ্রই দু-একদিনের ছুটি পেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এমন মনোরম সৌন্দর্যপূর্ণ পরিবেশ বাঁকিপুটে।