ডিম্পল কুইন প্রীতি জিন্টা বলিজগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পর্দায় ভুবন ভোলানো মিষ্টি হাসি দিয়েই অজস্র দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে প্রীতি বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নিয়ে বিদেশে স্বামী জিন গুড এনাফ ও তার সদ্যোজাত দুই সন্তানদের নিয়ে সুখে সংসার করছেন।
তবে বলিউড থেকে বিদায় নিলেও তাঁকে নিয়ে তাঁর ভক্তদের মনে আগ্রহ একটুও কমেনি। এর কারণ হলো প্রীতির জীবন রয়েছে অনেক অজানা রহস্যে ঘেরা। মিষ্টি হাসির পিছনে জীবনের অনেক বড় যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখেছেন প্রীতি। প্রীতির যখন মাত্র ১৩ বছর বয়স তখন তাঁর পরিবার এক ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই পথ দুর্ঘটনায় তাঁর বাবার মৃত্যু ঘটে এবং তার মা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। অভিনেত্রীর বাবা দুর্গানন্দ জিন্টা ছিলেন একজন ভারতীয় সেনা অফিসার।
প্রীতির বাবার মৃত্যুর দু’বছর পরই তাঁর মা নীলপ্রভা জিন্টাও মারা যান। মা -বাবাকে হারানোর পর গোটা পৃথিবীটাই যেন বদলে যায় প্রীতির। তিনি একদম একা এবং অনাথ হয়ে পড়েছিলেন। খুব অল্প বয়স থেকেই প্রীতি মডেলিং শুরু করেন। সেখান থেকেই সুযোগ আসে বিজ্ঞাপনে কাজ করার। বিজ্ঞাপনে কাজ করতে করতেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন প্রীতি। এরপর আর ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ আসতেও খুব বেশি দেরি হয়নি।
১৯৯৮ সালে ‘দিল সে’ ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রাখেন প্রীতি। এরপর একের পর এক ‘কোই মিল গয়া’, ‘কাভি আলবিদা না কহ না’, বীরজারা, ‘দিল হে তুমহারা’ ছবির মত একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেন তিনি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে।
ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা তিনি অনুভব করেছিলেন। তাই ২০০৯ সালে নিজের জন্মদিনে ঋষিকেশ থেকে ৩৪ জন শিশুকে দত্তক নেন প্রীতি। প্রত্যেক বছর জন্মদিনে তিনি তাঁর দত্তক নেওয়া সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।