ডিসেম্বর মাস না পড়তে না পড়তেই ভালোই শীত পড়তে শুরু করে দিয়েছে। আর শীতকালে সকল বাঙালির মন ঘোরার জন্য উরু উড়ু করে। তাই আপনাদের আজকের এই প্রতিবেদনে জানাবো এমন কিছু পর্যটন স্থানের নাম যেখানে অল্প দিনের ছুটিতে মন ভরে ঘুরে আসতে পারবেন।
রায়চক: রায়চক কলকাতা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডায়মন্ড হারবারের একটি ছোট্ট শহর। এখানে প্রাচীনকালে একটি দুর্গ ছিল যেটি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছিল। পরবর্তীকালে গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত রেডিসন দুর্গকে পুনর্নির্মাণ করে একটি ফাইভ স্টার হোটেলে পরিণত করা হয়েছে। যদি আপনি জেটি করে ভ্রমণ করতে চান, তবে আপনার খরচ পড়বে ৩০ মিনিটের জন্য ১০ টাকা। তবে হোটেলটি বেশ ব্যয়বহুল। এছাড়াও আপনি গঙ্গায় ভ্রমণ করার জন্য একটি ক্রুজ ভাড়া করতে পারেন তবে এটিও খুবই ব্যয়বহুল।
আকর্ষণীয় বিষয়- হুগলি নদীর তীর।
ভ্রমণের আদর্শের সময়- গ্রীষ্মকাল বাদে সারা বছরই এখানে যাওয়া যায়।
থাকবার জায়গা- দ্য ফোর্ট, হোটেল সি বার্ড ইনটেল, গঙ্গার তীর।
খাবারের জায়গা- সোনার তরী অথবা reflections at the fort এই দুটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো রেস্তরা এখানে নেই।
টাকি: টাকি শহরটি ইছামতি নদীর তীরে, কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে আপনি অনায়াসে ফেরিঘাট থেকে ফেরি করে প্রায় ১২৯ একর জমি নিয়ে গঠিত মাছরাঙ্গা দ্বীপটি ঘুরে দেখতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ভ্যান রিক্সা ভাড়া করে টাকির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলি অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবেন।
আকর্ষণীয় বিষয়- ইছামতি নদীর তীর, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ী।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়- গ্রীষ্মকাল বাদে সারাবছরই এখানে ঘুরতে যাওয়া যায়।
থাকবার জায়গা- টাকি গেস্ট হাউস, টাকি টুরিস্ট বাংলো।
খাওয়ার জায়গা- স্থানীয় পান্থশালা। আপনি এখানে ইছামতি নদীর সুস্বাদু মাছ খুবই সস্তা দামে পেয়ে যাবেন।
তাজপুর: কলকাতা থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে, বঙ্গোপসাগরের তীরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত তাজপুর মন্দারমণি এবং শংকরপুর। এখানে একটি মৎস্য চাষের প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১৪০০ একর জমি নিয়ে। এখানে সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে অঞ্চলে বহু লাল কাঁকড়া দেখা যায়।
আকর্ষণীয় বিষয়- লাল কাঁকড়া, দ্য ভার্জিন বিচ, ঝাউবন এবং সমুদ্রের গর্জন।
থাকবার জায়গা- তাজপুর নেচার ক্যাম্প, তাজপুর রিট্রিট।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়- অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস।
খাবার জায়গা- এখানে সব জায়গাতেই বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক খাবার পেয়ে যাবেন।