আজকালকার যুগে ছেলে মেয়ে উভয়েরই শার্ট পরার প্রচলন রয়েছে। তবে শার্ট পরার সময় কখনো কি ভেবে দেখেছেন মেয়েদের শার্টের বোতাম সবসময় বাম দিকেই কেন থাকে? কিন্তু ছেলেদের শার্টের বোতাম কিন্তু সবসময়ই ডানদিকেই লাগানো থাকে। তাহলে মহিলাদের শার্টে বোতাম বাম দিকে কেন থাকে? অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে শার্ট পরতে গিয়ে অনেকেই অসুবিধায় পড়েন।
শার্টের বোতাম বাম দিকে হওয়ার কারণে তাড়াতাড়ির সময় শার্ট পরতে দেরি হয়ে যায়। আসলে মেয়েদের শার্টের বোতাম বাম দিকে হওয়ার পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মেয়েদের শার্টের বোতাম বাম দিকে কেন হয়, এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে নানান তত্ত্বের কথা প্রকাশ করেছেন। এরমধ্যে একটি তত্ত্বে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলারা শিশুদের বাম হাতেই ধরেন।
মহিলারা সদ্যোজাত শিশুদের বাম হাতে ধরে কোলের মধ্যে রাখেন। এর কারণ হলো যাতে ডান হাত দিয়ে তারা অন্যান্য কাজগুলো করতে পারেন। মহিলাদের যখন শিশুকে স্তন্যপান করানোর প্রয়োজন পড়ে, তখন তারা শার্ট পড়ে থাকলে তার বোতাম বাম দিকে থাকলে উল্টো হাত দিয়ে তারা খুব সহজেই বোতাম খুলে ফেলতে পারেন।
এই কারণেই মহিলাদের শার্টের বোতাম বাম দিকে রাখা হয়। পশ্চিমে দুনিয়ায় উচ্চবিত্ত পরিবারের মহিলাদের ঘরে তাদের সাজিয়ে দেওয়ার জন্য ও পোশাক পরানোর জন্য লোক নিয়োগ করা থাকতো। তাই মহিলারা কখনোই নিজে নিজে জামা কাপড় পরতেন না। মেয়েদের বোতাম বাম দিকে থাকার এটিও অন্যতম একটি কারণ। কারণ পরিচারিকাদের এভাবেই পোশাক পরাতে সুবিধা হত।
তারা ডান হাত দিয়ে শীঘ্রই বোতাম আটকে দিতে পারতেন। মেয়েদের শার্টের বোতাম বাম দিকে রাখার পিছনে আরও একটি কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ওয়েস্টকোটের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে রাখতেন। এই কারণে অনেক ফরাসি মহিলাই নেপোলিয়ানকে নিয়ে ঠাট্টা করতেন। এমনকি তারা সমালোচনাও করতেন নেপোলিয়নকে নিয়ে। সেই জন্যই নেপোলিয়ান মহিলাদের জন্য শার্টের অর্ডার দেন। সেই শার্টের বোতাম ছিল বামদিকে। মহিলাদের এভাবেই পোশাক পরতে হতো। যাতে তারা আর হাসিঠাট্টা বা কটাক্ষ না করতে পারেন।