বিয়ে মানেই হল এক পবিত্র বন্ধন। স্বামী ও স্ত্রীর আত্মার মিলন। বিয়ে হল এমন একটি সামাজিক বন্ধন যেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। আজ১৭ই ডিসেম্বর, আজ থেকেই থেকে শুরু হল পৌষ মাস। এই গোটা পৌষ মাস কোন বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে না। কেবলমাত্র বিয়েই নয়, বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনো শুভ কাজই পৌষ মাসে এড়িয়ে চলেন বেশিরভাগ মানুষ।
এই সময় দোকানদারদের বাজার মন্দা যায়।কিন্তু কেন পৌষ মাসে বিয়ে হয় না? হিন্দু শাস্ত্রমত অনুসারে বিয়ে হল এক পারিবারিক আনন্দের অন্যতম উৎস।হিন্দু শাস্ত্র মতে, পৌষ মাসে বিয়ে হলে কন্যা আচারভ্রষ্টা ও স্বামী বিয়োগিনী হতে পারেন। এই কথার উল্লেখ বেনীমাধব শীলের পঞ্জিকাতেও রয়েছে।
এছাড়াও এর পিছনে রয়েছে আরও একাধিক কারণ। পৌষ মাসে মানুষ নানান কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন। মূলত বছরের এই সময় ধান ও নানান ধরনের ফসল কাটা হয়। এই সময়ই চাষিরা ধান কাটা এবং ঝাড়াই-বাছাই করে সারা বছরের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন। একসময় দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই জীবিকা ছিল কৃষিকাজ।
এর ফলে পৌষ মাসে বিয়ের অনুষ্ঠান করার মতন সময় পেতো না মানুষ। এই কারণেই সেই যুগে পৌষ মাসে বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল। সেখান থেকে একাল পর্যন্ত, যুগ যুগ ধরে পালন হয়ে আসছে এই নিয়ম। শুধুমাত্র পৌষ মাসই নয়, শাস্ত্রে চৈত্র মাসও হিন্দুদের বিয়ের জন্য অশুভ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রে উল্লেখ করা আছে, এই মাসে বিবাহ হলে কন্যা মদনোন্মক্তা হয়।
তাই জন্য ধরে নেওয়া হয় পৌষ ও চৈত্র মাস বাদ দিয়ে বছরের বাকি দশ মাস হিন্দুদের বিয়ের জন্য শুভ।এবছর পৌষ মাস ৩০ দিনে। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে, আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ ই জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে পৌষ মাস। ১৪ ই জানুয়ারি সকল বাঙালির ঘরে ঘরে পালন করা হবে পৌষ সংক্রান্তি উৎসব। মাঘ মাসের প্রথম বিয়ের তারিখ হল ১৭ই জানুয়ারি।