বলিউডের ৭০ দশকে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) এবং রেখার (Rekha) সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অমিতাভ বিবাহিত ছিলেন তাই অবশেষে রেখাকে ছেড়ে তাঁকে স্ত্রী জয়া ভাদুড়ীর এর কাছেই ফিরে যেতে হয়। তবে জয়ার জন্য অমিতাভ-রেখা সম্পর্ক ভাঙ্গেনি।
এর আসল ঘটনাটি রেখার জীবন নিয়ে লেখা বই ‘রেখা: দি আনটোল্ড স্টোরি’ তে তুলে ধরেছেন। কেন অমিতাভ-রেখার সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরেছিল? এই বিষয়ে অমিতাভ কখনোই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। এমনকি বিগ বি কখনোই রেখার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেননি।
অমিতাভ এবং রেখার সম্পর্ক পরিণতি না পেলেও তাদের প্রেম কাহিনী নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে তুমুল আগ্রহ। এই সত্যিটা সবার সামনে তুলে ধরার জন্য ইয়াস ওসমান রেখাকে নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন। এই বইতে অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক নিয়ে একটি অত্যন্ত গোপন তথ্য তিনি প্রকাশ করেন। একদিন নাকি রেখা হঠাৎই অমিতাভের কাছ থেকে বার্তা পান, যে অমিতাভ আর তাঁর সঙ্গে কোনো ছবিতে কাজ করবেন না।
অমিতাভ হঠাৎই সম্পর্ক ভাঙ্গার কথা রেখাকে জানিয়েছিলেন। রেখা জানান, তাদের সম্পর্ক ভাঙ্গার কারণ জয়া ভাদুড়ী ছিলেন না। রেখার ইঙ্গিত ছিল এক ইরানি নিত্যশিল্পীর দিকে। সেই সময় চলছিল ‘লাওয়ারিশ’ ছবির শুটিং। এই ছবিতেই এক ইরানি নৃত্যশিল্পীকে আনা হয়েছিল। শুটিং চলাকালীনই এই নৃত্যশিল্পীর প্রেমেই নাকি হাবুডুবু খাচ্ছিলেন অমিতাভ।
সেই সময় অমিতাভ বিবাহিত ছিলেন এবং অন্যদিকে রেখার সঙ্গে তার প্রেম চলছে। অমিতাভের এই প্রেমের খবরটা মেনে নিতে পারেননি রেখা। রেখা তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেন। রেখা এই বিষয়ে অমিতাভকে প্রশ্ন করলে দুজনের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি বেঁধে যায়। এই ঝগড়া বেড়ে গিয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যে অমিতাভ রাগের মাথায় রেখাকে চড় মেরে ফেলেন।
তবে একবার নয়, ঐদিন একাধিকবার রেখার গায়ে হাত তোলেন অমিতাভ।রেখা অমিতাভের কাছে থেকে এরকম দুর্ব্যবহার কখনোই আশা করেননি। এরপর রেখা নিজের জীবনের এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার পর রেখা সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবেন না। ইরানি ওই নৃত্যশিল্পীর জন্যই ভেঙে যায় অমিতাভ-রেখার প্রেমের সম্পর্ক।