Morgan House: ভূত চতুর্দশী রাতে গা ছমছমে অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চান? তবে ঘুরে আসুন এই জায়গায়

Spread the love

পাহাড় ভালবাসে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। পাহাড় সকলেরই খুবই প্রিয়। দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে চলে যাওয়াই যেতে পারে সুদুরে কোনো পাহাড়ে। এই দীপাবলীর ছুটিতে ভ্রমণ করার একটি উপযুক্ত জায়গা হল কালিম্পং।

কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশীর রাত আর এই ভূত চতুর্দশী রাতে একদমই গা ছমছমে অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চাইলে আপনার জন্য একেবারেই উপযুক্ত স্থান হল কালিম্পং এর একটি ভুতুড়ে গেস্ট হাউস যার নাম মর্গান হাউস।

অনেকেরই মনে হয় কালিম্পং খুব ঘিঞ্জি জায়গা, সেখানে কেন যেতে যাব? কিন্তু এটি একটি অফবিট ডেস্টিনেশন কালিম্পং থেকে একটু দূরে। জায়গাটি এতই নিরিবিলি যে অমাবস্যার রাতে গা ছমছম করতে বাধ্য। ভুতের দেখা পেতে গেলে অন্তত একবার আপনাকে এই মর্গান হাউসে যেতে হবে। কে বলতে পারে হয়তো তেঁনাদের দেখা পেয়েই ফিরলেন। মর্গান হাউস একটি ঐতিহাসিক বাড়ি এর পিছনে রয়েছে নানান রকম রহস্যময় ঐতিহাসিক ঘটনা।

Sixth Ocean: ছয় নম্বর মহাসাগর কোথায় রয়েছে এবং কিভাবে পাওয়া গেল এর সন্ধান?

Online Part Time Jobs: এই শিক্ষা থাকলেই আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন সহজেই, কম সময়ে

NASA: পৃথিবীকে বাঁচাতে নাসার এই যান চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল গ্রহাণুকে, দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিওটি

১৯৩০ সালে এই মর্গান গেস্ট হাউসটি তৈরি করে হয়েছিল। পাট ব্যবসায়ী জর্জ মর্গানের সাথে একজন নীলকর সাহেবের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এটি। মর্গান সাহেব তার প্রিয়তমা স্ত্রীর পাশাপাশি এই অসাধারণ ভবনটির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। প্রায় সারা বছরই তারা থাকতে শুরু করলেন এখানে। তারা দুজনেই মারা গেলে বাড়িটি ভুতুড়ে বাড়ির মতন এমনি পড়েছিল।

জায়গাটি সৌন্দর্য অতুলনীয়। চারিদিকে সবুজে ঘেরা লন যেখানে দু মিনিট শান্তিতে বসে যেতে পারেন। সামনের দিকে অসাধারণ পাহাড়ি সৌন্দর্য উপরে নীল আকাশ পায়ের নিচে সবুজ ঘাস সবমিলিয়ে সে এক স্বর্গীয় পরিবেশ। বাইরের থেকে দেখলে এটিকে ভূতের বাড়ি মনে হলেও ভিতরে রয়েছে অসাধারণ গেস্ট হাউস।

এর মধ্যে রয়েছে সুন্দর কাঠের চকচকে মেঝে,ফায়ার প্লেস, কাঠের ফার্নিচার যাকে বলে একেবারে রাজকীয় ব্যবস্থা। এবার আপনি হয়তো ভাবছেন এত সুন্দর জায়গা এত সুন্দর পরিবেশ তবুও এটিকে ভুতের বাড়ি কেন বলা হচ্ছে?

Hair Care: অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে? সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাগান এই পাতা

Burima: এক সাধারণ বুড়িমা থেকে একজন জনপ্রিয় বুড়িমা, কি তাঁর রহস্য?

তবে অনেকেই বলেন এগুলি সবই গুজব। অন্ধকার রাতে এই গেস্ট হাউসে রাত কাটানোর মজাই আলাদা। আপনি সকাল হলেই হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে আর্মি এলাকাগুলিও দর্শন করে আসতে পারেন। পরিবেশ দূষণ নেই,চকচকে রাস্তা,নীল আকাশ, নেই যানবাহনের ভিড় চারিদিকে সবুজে গাছপালা সব মিলিয়ে এক স্বর্গীয় পরিবেশ। কিভাবে যাবেন এখানে চলুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

Potol Bharta: একথালা ভাত হবে নিমিষে ফিনিশ, যদি পাতে পরে পটলের এই ইউনিক ডিস, দেখুন রেসেপি

Online Part Time Jobs: এই শিক্ষা থাকলেই আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন সহজেই, কম সময়ে

Sixth Ocean: ছয় নম্বর মহাসাগর কোথায় রয়েছে এটি এবং কিভাবে পাওয়া গেল এর সন্ধান?

ট্রেন পথে: শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি হলো কালিম্পংয়ের সবথেকে কাছাকাছি দুটি রেলস্টেশন।

সড়ক পথে: গাড়ি ভাড়া করে আপনি খুব সহজেই শিলিগুড়ি থেকে কালিপং পৌঁছে যেতে পারবেন। এবার তাহলে আর দেরি না করে এই দীপাবলির ছুটিতেই ব্যাগ গুছিয়ে ঘুরে আসুন মর্গান হাউস। রহস্য , পাহাড় ,শান্ত পরিবেশ ,পাইন গাছের জঙ্গলে ঘেরা এক সুন্দর রহস্যময় স্বর্গীয় পরিবেশে।


Spread the love

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *