Keasar: কিছুদিনের মধ্যেই লাখপতি হতে আজ থেকেই শুরু করুন কেশরের এই ব্যবসা, রইল শেখার সহজ পদ্ধতি

Spread the love

কেশর বহু বছর ধরে মশলা হিসেবে গোটা বিশ্বের সমাদৃত।তিন হাজার বছরের আগে থেকে রান্না ঘরে মশলা হিসেবে কেশর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বে যত প্রকারের মশলা উৎপন্ন হয় তার মধ্যে কেশরকে সব মশলার রাজা বলা হয়। কি স্বাদে, কি গন্ধে, কি রঙে কেশরের তুলনীয় কোন মশলাই নেই। এছাড়াও প্রাচীনকালে ত্বকের পরিচর্যা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি জন্যও কেশর ব্যবহার করা হতো।

সাধারণত মিষ্টি তৈরিতে অথবা বিরিয়ানি রান্নায় বিশেষ রং বা সুন্দর গন্ধ নিয়ে আসার জন্য কেশরের ব্যবহার করা হয়। কেশর বা জাফরান অত্যন্ত দামি মশলা। তাই কেশর বাজারে উপলব্ধ হলেও অধিক পরিমাণে দামের জন্য কিনতে পারেন না অনেকেই। বর্তমানে ভারতবর্ষে প্রতি কেজি কেশরের দাম ২,৫০,০০০ টাকা থেকে ৩,০০,০০০ টাকা। কেশর এত মূল্যবান হওয়ার কারণে একে ‘লাল সোনা’ বলা হয়ে থাকে।

বর্তমানে চাকরির দুরবস্থার কারণে অনেকেই চাষবাস নিয়ে পড়াশোনা করে দামী ফসল বা মসলার চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। যদি খুব সহজেই বাড়িতেই কেশর বা জাফরানের চাষ করা যায়, তাহলে খুব সহজেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যাবে। কেশর বা জাফরান চাষ করে প্রতি মাসে ৫-৬ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো কেশর চাষের খুব সহজ পদ্ধতি।

কেশর চাষের জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময় হল জুলাই মাস। বছরের এই সময়টিতেই কেশরের বীজ বপন করার সঠিক সময়। আসুন জেনে নিই পদ্ধতিটি-

মাটিতে কেশরের বীজ পোতার আগে জমি খুব ভালো করে খুঁড়ে নিতে হবে।
এরপর ফসফরাস, নাইট্রোজেন, পটাশ ও গোবর সার প্রয়োগ করে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।
তারপরে মাটিতে কেশরের বীজ পুঁতে উপযুক্ত পরিচর্যা করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে বীজ থেকে গাছ জন্মানোর পর ফুল ফুটলে সেখান থেকে কেশর সংগ্রহ করে নিতে হবে।

জুলাই থেকে আগস্ট মাস হলো পাহাড়ি এলাকায় কেশর চাষের জন্য একদম উপযুক্ত সময়। তবে সমতল এলাকায় কেশরের বীজ বপন করার সঠিক সময় হল ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানাতে এই মহামূল্যবান মশলার চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই।


Spread the love

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *