Potol Tola Meaning: পটল তোলা মানে মৃত্যু কেন? এর পিছনের অজানা কাহিনী শুনলে চমকে যাবেন

Spread the love

রান্নাঘরে পটল প্রতিদিনের একটি অতি প্রয়োজনীয় সবজি। নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় খুবই সহজে জায়গা করে নেয় পটল। পটল দিয়ে হরেক রকমের সুস্বাদু পদ রান্না করা হয়, যেমন-সরষে পটল, পটলের দোরমা, দই পটল, পটল চিংড়ি ইত্যাদি। পটল খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন তবে ভুল করেও কখনো পটল তুলবেন না। এর কারণ হলো, “পটল খাওয়া” আর “পটল তোলা”র মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে।

এছাড়াও পটলের রয়েছে অনেক গুণ। পটলে শর্করা, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যালসিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়াও পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরিন ও গন্ধক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পটল আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে পটল খুব কার্যকরী। জ্বর, সর্দি কাশি থেকেও সাময়িক মুক্তি দেয় পটল। পটল রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

তবে সকলের মনেই একটা ভাবনা রয়েছে, যে এত উপকারী পটলের সাথে “পটল তোলা”র মতন এমন কথা কিভাবে জুড়লো। এই পটল তোলা কথাটির আক্ষরিক অর্থ হলো “মারা যাওয়া”। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Die,Kick,the bucket,Croak প্রভৃতি। ইংরেজি এই শব্দগুলির অর্থ হলো মারা যাওয়া। তবে পটলের সাথে মারা যাওয়া কথাটি কেন যুক্ত হয়েছে চলুন এর আসল কারণটি জেনে নেওয়া যাক।

আসলে, ফলদায়ী কোন পটল গাছ থেকে যদি সমস্ত পটল তুলে নেওয়া হয়, তাহলে সেই পটল গাছটি মারা যায়। এই কারণটির জন্যই এই বাগধারার সৃষ্টি। আবার আরেকটিও কারণ মনে করা হয় পটলের সাথে মারা যাওয়া কথাটি যুক্ত হওয়ার পিছনে। মারা যাওয়ার সময় সকলের চোখ উপরের দিকে উল্টে যায়।

চোখের আর একটি নাম হলো ‘অক্ষিপটল’। এর ফলে মারা যাওয়া বোঝাতে “পটল তোলা” শব্দের ব্যবহার করা হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, কেউ মারা গেলে তার পরিধেয় বস্ত্র বা পট তুলে রাখা হয়। পরবর্তীকালে এই “পট তোলা” কথাটি বদলে “পটল তোলা”তে পরিণত হয়েছে।


Spread the love

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *