প্রেমে পড়ার নির্দিষ্ট কোন বয়স হয় না। ভালোবাসাময় গোটা বিশ্ব। এমনটাই মনে করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। প্রেমের ফাঁদে কখন কে যে ধরা পড়ে তা বলা সত্যিই খুবই কঠিন। এই প্রেম মানুষকে গড়েও আবার ভাঙ্গেও। কোন প্রকারের বাঁধাই মানে না এই সম্পর্ক। প্রেম একটি মায়াজাল। প্রেম এক অদ্ভুত অনুভূতি যা কোন না কোন সময় প্রত্যেক মানুষের জীবনেই আসে। আবার এই প্রেম কখনো কখনো মানুষকে পরিবর্তন করে দেয়।
এই মায়াজালে জড়িয়ে অনেক মানুষ অনেক কঠিন থেকে কঠিন কাজও অতি সহজেই সম্ভব করে ফেলে। এই প্রেম যেমন অসাধ্যকে সাধন করে আবার মৃত্যুর মতন কঠিন বিষয়কেও হার মানিয়ে দেয় অনেক সময়। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে প্রেমের জন্য কত যুদ্ধ, কত রক্তপাত, কত নগরী ধ্বংস হয়ে গেছে। পুনরায় রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস।
অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে মানুষ কেন প্রেমে পড়ে? নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ থেকে আসে আসক্তি, এমনটাই সাহিত্য ও পুরানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পূর্বরাগ আসে এই আকর্ষণ থেকেই। এই পূর্বরাগ হল প্রেমের প্রথম ধাপ। পরস্পরের প্রতি জেগে ওঠা দুর্নিবার বাসনাকে বলে ভালোবাসা। প্রেম হলো কামনা, শুধু সাহিত্য, উপন্যাস, কবিতা বা পুরাণেই প্রেমের বর্ণনা করা হয়নি।
প্রেমের ব্যাখ্যা রয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছেও। মানুষের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক একটি উপাদানের প্রভাবের কারণে নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি স্বভাবজনিত কামনা তৈরি হয়, বিজ্ঞানীদের মতে। আবার অনেক বিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহে কামনা তৈরি হয় সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেনের মাধ্যমে। মস্তিষ্কের ডোপামিন ও নোরিপাইনের মাধ্যমে আকর্ষণ তৈরি হয়।
অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রোসিনর মাধ্যমে তৈরি হয় আসক্তি। মানুষ প্রেমে পড়ে সহানুভূতির খোঁজে, খারাপ সময় বিপদের দিনে পাশে থেকে কেউ সহানুভূতি দেবে এমন আশায় অনেকে প্রেম করে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতি না থাকলে সেই প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মানুষ কখনো একা থাকতে পারে না তাই নিঃসঙ্গতা দূর করার জন্য হয় একজন সঙ্গীর।
এই কারণে অনেকে প্রেম করে থাকে। লক্ষ্য করা যায়, পুরুষ ও নারী তাদের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে যোগসূত্র খুঁজে পেলে প্রেম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। নিজেদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা একে অন্যের সঙ্গে প্রকাশ করতে থাকে। এতে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা গভীর হয়।