মদের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ডিম! সপ্তাহে ৪ টের বেশি ডিম খেলে কি হয় শুনলে অবাক হবেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সকলেই কম বেশি একটি বা দুটি করে ডিম রেখে থাকেন।। বিশেষ করে যারা ডায়েট করছেন তারা শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য মাছ, মাংসের সাথে সাথে ডিমটাও অবশ্যই রাখেন। প্রোটিন ছাড়াও ডিমের মধ্যে রয়েছে মিনারেলস ও ভিটামিন। অনেকেরই ধারণা, দিনে যত খুশি ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধারণাটি একদমই ভুল।
দিনে বা সপ্তাহে ডিম খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ থাকা খুব জরুরী। বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, সপ্তাহে বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয় কোনোমতেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে কেবলমাত্র তিনটে থেকে চারটে ডিম খাওয়া উচিত। কিন্তু কেন? এর কারণ জানলে আপনিও চমকে যাবেন। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ডিম পুষ্টিকর একটি খাদ্য। এছাড়াও ডিমের দামও কম।
৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নতমানের ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এর সাথে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যগুণ থাকে একটি ডিমের মধ্যে। শরীরে কয়েক ক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয় একটি ডিম খেলে। ডিমের এত উপকারী গুণ থাকা সত্বেও বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে তিন থেকে চারটের বেশি ডিমের না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এর কারণ হলো ডিমে রয়েছে ‘অ্যাভিমিন’ নামক একটি গ্লাইকো প্রোটিন। এটি মানবদেহে ত্বক, চুল ও নখ গঠনে বাধা সৃষ্টি করে।
Mashla Papad: চালের গুঁড়ো দিয়ে এইভাবে বানান মশলা পাঁপড়, যা একবার খেলে জাস্ট প্রেমে পরে যাবেন
Gastric Problem: লুচি খেলেই কি বুক জ্বালা করে? গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর করুন এই ঘরোয়া উপায়ে
এই কারণে যারা অতিরিক্ত চুল পড়া, নখ ভেঙে যাওয়া বা ত্বকের কোনরকম সমস্যায় ভুগছেন তাদের পক্ষে ডিম বেশি না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের কাজের উপরেও ডিম প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে গেলে ডিম বেশি না খাওয়াই ভালো।
যারা প্রতিদিন শরীরচর্চা থাকেন তারা ডায়েটে ডিম রাখতে পারেন। কিন্তু যারা সেরকমভাবে শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদের একসঙ্গে ৪ থেকে ৬টা ডিম খাওয়া একদমই উচিত নয়। শুধু ডিমের ক্ষেত্রেই নয়, সব খাবারই একটা পরিমাপ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।