বেশ কিছুদিন ধরেই তর্ক বিতর্ক চলছে সাইক্লোন ,নিম্নচাপ এসব নিয়ে। সম্প্রতি আলিপুর হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে শনিবার একটি সাইক্লোন তৈরি হবে। এছাড়াও দীপাবলীর সময় সুপার সাইক্লোন Sitrang আছড়ে পড়বে এরকমটাই দাবি করছেন কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার রিপোর্টে। প্রথমের দিকে মৌসম ভবন সাইক্লোন নিয়ে স্পষ্ট কিছু না জানালেও সম্প্রতি সাইক্লোন তৈরি হবে এমনটাই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিস।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে ২২ তারিখ সকালে। পরে অবশ্য তা সাইক্লোনের আকার ধারন করতে পারে। যদিও ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত না পাওয়া গেলেও ল্যান্ডফলের সময় এটির গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানা গেছে।
এই সাইক্লোনটি কতটা শক্তিশালী হবে সেই সম্পর্কে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। দীপাবলিতে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে, আগেভাগেই নবান্নের তরফ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর গুলিকে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও বলা হয়েছে কালীপুজোতে যে সকল প্যান্ডেল তৈরি করা হবে সেগুলো যেন কোনোভাবেই দুর্বল না হয়। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলাকে বিশেষক সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে যথা উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং হুগলি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি এই তিন জেলাতেই পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কেউ বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।