কৃষ্ণবর্ণের কারণে কেবলমাত্র নায়িকাদেরই নয়, কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয় বলিউডের নায়কদেরও। বিশেষ করে ১৯৭০-৮০ দশকে অভিনেতা- অভিনেত্রীদের গায়ের রং কালো হওয়া ছিল বড় একটি অপরাধ। কৃষ্ণবর্ণ নিয়ে যদি কেউ সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তবে তার স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতন লোকের অভাব ছিল না। ঠিক এমনটাই ঘটেছিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সাথেও। বলিউডে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কৃষ্ণবর্ণের কারণে তাঁকে চরম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছিল।
বলিউডে তিনি যখন পা রাখেন, তখন তার উল্টোদিকে অনেক বড় বড় সুপারস্টাররা বলিউড জুড়ে রাজত্ব করছিলেন। তাই কেরিয়ারের শুরুতে মিঠুনকে বলিউডে জায়গা পেতে কম লড়াই করতে হয়নি। সম্প্রতি নিজের পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করে সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মঞ্চে আবেগে ভাসলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে বলিউডে এখন বহু সুপারস্টারের বায়োপিক তৈরি হচ্ছে।
কিন্তু মিঠুন কখনোই চান না, যে তাঁর বায়োপিক বানানো হোক। কারণ তিনি মনে করেন, তিনি নিজের জীবনে এতটাই কষ্ট ও যন্ত্রণা সহ্য করেছেন, যে সেই গল্প কেউ জানলে অনুপ্রেরণার বদলে তাদের মন ভেঙ্গে যাবে। তিনি বলেন, তিনি যতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করেছেন সেরকমটা যেন আর কারোর সাথে না হয়। তাঁকে বছরের পর বছর ধরে নিজের শ্যামলা গায়ের রংয়ের জন্য অপমানিত হতে হয়েছে। অনেক রাত তিনি না খেয়ে খালি পেটে শুয়ে কাটিয়েছেন। এমনকি বহুদিন তার আশ্রয় বলতে ছিল শুধুই ফুটপাত। এমনকি পরের দিন খাবার পাবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় ছিল।
মিঠুন বলেন,”আমার গল্প কখনোই কারোর মনে অনুপ্রেরণা যোগাবে না। বরং তাদের মনোবল নষ্ট করে দেবে।আমি চাইনা এরকম কিছু ঘটুক। আমি নিজেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রমাণ করার জন্য অনেক লড়াই করেছি। আমি অনেক হিট ছবি দিয়েছি বলে লিজেন্ড নই, আমি নিজেকে লিজেন্ড মনে করি কারণ আমি আমার জীবনের সমস্ত যন্ত্রণা আর কষ্টকে অতিক্রম করতে পেরেছি।”এই কথাগুলো বলতে বলতেই তাঁর চোখে জল চলে আসে।