Tourism: রাজ্যের বুকে শুরু হয়ে গেছে শীতের আমেজ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এই শীতের পথে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করলেও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই দুর্যোগের ঘনঘটা কেটে যাবে রাজ্যের আকাশ থেকে। তারপরেই পড়তে শুরু করবে ঠান্ডা। এদিকে শীতকাল আসলেই ভ্রমন প্রিয় মানুষদের মন উতলা হয়ে ওঠে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জন্য।
শীতকাল এলেই দল বেঁধে পিকনিকে যাওয়ার ধুম যেমন থাকে ঠিক তেমনি পর্যটন স্থান গুলিও মানুষের ভিড়ে একেবারে ভরে ওঠে। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার কথা মাথায় এলেই প্রথমে মনে হয় কোথায় যাবেন? কারণ একই জায়গায় তো আর বারবার যাওয়া যায় না। আজ আপনাদের এমন একটি পর্যটন কেন্দ্রের সন্ধান দেবো কলকাতার কাছে অবস্থিত যে স্থানটিতে গেলে আপনি দীঘার সৌন্দর্য কেও ভুলে যাবেন। জায়গাটির নাম গেঁওখালি। কলকাতা থেকে মাত্র ১১৫ কিলোমিটার দূরত্বে ই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন সুন্দর এই স্থানটিতে।
গেঁওখালি তে যেতে হলে আপনাকে হাওড়া-হলদিয়া লোকাল ট্রেনে উঠে সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনে নামতে হবে। এরপর টোটো, অটো বা বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন গেঁওখালিতে। এখানে থাকার জন্য বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্মিত এই গেস্ট হাউসের নাম ত্রিবেণী সঙ্গম। এখানে থাকতে গেলে আপনার ভাড়া বাবদ খরচ হবে দৈনিক ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল হল এই গেঁওখালি গ্রামটি।
এই স্থানের একদিক থেকে এসেছে রূপনারায়ণ, অন্য দিক থেকে হলদী এবং অপর দিক থেকে হুগলি নদী এসে মিলিত হয়েছে এই জায়গায়। তিন নদীর সংযোগস্থলের এই গ্রামটি তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে পর্যটকদের অনায়াসে মুগ্ধ করতে পারে। তাই শহরের ব্যস্ততা পূর্ণ একঘেয়ে জীবন থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে এই ত্রিবেণী সঙ্গমে দুটো দিন কাটিয়ে আসতেই পারেন। ট্রেনে করে এই জায়গাটিতে না যেতে চাইলে আপনি জলপথে লঞ্চে করেও এখানে পৌঁছাতে পারবেন।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে জলপথে লঞ্চে চড়ে যাত্রা আপনার জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। গাদিয়ারা থেকে লঞ্চ ধরে গেঁওখালি পর্যন্ত সমস্ত রাস্তার যাত্রা টাই আপনি উপভোগ করবেন। তাই একঘেয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে একটু দূরে সরে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আপনাকে নিরাশ করবে না।