New Travel: যতদূর চোখ যাবে শুধু সবুজ আর সবুজ, অল্প খরচেই ঘুরে আসুন এই নাম না জানা ‘পাখিদের গ্রাম’ থেকে

Spread the love

New Travel: সবুজে ঘেরা এই গ্রামে অজানা পাখিদের কলতান মুগ্ধ করবে আপনাকে! ঘুরে আসুন ‘পাখিদের গ্রাম’ থেকে! বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ দেখা যায় না। কিন্তু পকেটের কথা ভাবতে গিয়ে দূরে কোথাও আর যাওয়া হয় না। অথচ মন উতলা হয়ে ওঠে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। আজ আপনাকে এমন এক জায়গার সন্ধান দিতে চলেছি খুব কম খরচেই ঘুরে আসতে পারবেন সেখান থেকে। সবুজে ঘেরা এই গ্রাম যেমন আপনার মনকে শান্ত করবে ঠিক তেমনি নাম না জানা নানা পাখিদের কলতান ভরিয়ে দেবে আপনার মন। জেনে নিন কোথায় আছে পাখিদের এই গ্রাম।

গ্রামটির নাম লাটপঞ্চারক। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই গ্রামে। এই গ্রামে পৌঁছানোর জন্য ট্রেনে বা বাসে করে আপনাকে প্রথমে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে হবে। তারপর সেখান থেকে সেবক রোড ধরে কালিম্পং যাওয়ার পথে কালিঝোড়া নামক স্থান থেকে বাম দিকের রাস্তা ধরতে হবে আপনাকে। এই রাস্তা দিয়ে গেলেই পৌঁছে যাবেন এই গ্রামে। দুদিনের ছুটি থাকলেই চট করে ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রাম থেকে।

শিলিগুড়ি থেকে মাত্র চল্লিশ পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। এই গ্রামের বিশেষ আকর্ষণ হল গ্রামে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন নাম না জানা অসংখ্য অজানা পাখি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০০ ফুট উচ্চ এই স্থানটি থেকে আপনি খুব সামান্য হলেও কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পাবেন। সবুজ পাহাড়ের উপর ছোট্ট ছোট্ট বাড়ি, কিছু হোমস্টের ব্যবস্থা এবং হোমস্টের ঘরে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন সব মিলিয়ে এই ট্যুর আপনার মনে শান্তি এনে দেবেই।

অনেক পর্যটক এর কাছে আজও অজানা থেকে যাওয়া সবুজে ঘেরা সুন্দর ও শান্ত এই গ্রামে এসে শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা মুক্তির নিশ্বাস নিতে পারবেন আপনি। এছাড়া এই গ্রামে একটি রক ক্লাইম্বিং সেন্টার আছে। বর্ষার সময় ছাড়া বছরের বাকি সময় গুলিতে পড়ুয়াদের ভিড় থাকে এখানে। শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর পড়ুয়া এখানে রক ক্লাইম্বিং করতে আসেন।

অজানা অনেক পাখির সমারোহ ছাড়াও এই স্থানের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হল এখানকার কমলালেবু উৎপাদন। এই গ্রামটিতে প্রচুর পরিমাণে কমলালেবু উৎপাদিত হয়।অক্টোবর মাসে গেলে আপনি সবুজ কমলালেবু দেখতে পাবেন। আর ডিসেম্বর মাসের দিকে গেলে গাছে ঝোলা পাকা কমলালেবু দেখতে পাবেন । তাই সময় সুযোগ বুঝে এই স্থানটি থেকে একবার ঘুরে আসতেই পারেন। সেই সঙ্গে এর কাছাকাছি স্থান সিটং এবং যোগী ঘাট দেখে আসতেও ভুলবেন না যেন।


Spread the love

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *