দৈনন্দিন জীবনে রান্নাঘরের সঙ্গে পটলের এক নিবিড় সম্পর্ক আছে। বিশেষত শীতের কয়েকটি মাস বাদ দিয়ে ঘরে ঘরে পটল বেশ জনপ্রিয়। পটলের অনেক রকমই গুণ রয়েছে। পটল সাধারণত ভাজা, মাছের ঝোল ,ডিমের ঝোল, আলু পটলের তরকারি, ইত্যাদি ভাবে রান্না করা হয়ে থাকে। এছাড়াও পটল দিয়ে সুস্বাদু কিছু পদ প্রস্তুত করা যায়, যেমন দই পটল, পটল কোর্মা, পটল চিংড়ি ,পটলের দোর্মা প্রভৃতি। অনেকেই আছেন যারা পটল পছন্দ করেন না।
তবে যারা পটল পছন্দ করেন না তারাও ভালো না লাগলেও পটল খেয়ে থাকেন পটলের গুণাবলীর কারণে।পটলে উপস্থিত রয়েছে বেশ কয়েকরকমের ভিটামিন। পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণে শর্করা। তাছাড়াও এই সবজিতে তামা ,পটাশিয়াম ,গন্ধক ,ক্লোরিন ও ম্যাগনেসিয়াম স্বল্প মাত্রায় উপস্থিত।
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য পটল অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই সবজির মধ্যে ফাইবার থাকার কারণে হজম ক্ষমতা অনেকাংশ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় শরীরে হু হু করে বেড়ে যাওয়া মেদ ঝরিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই সব্জিটি। কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে পটল। এছাড়াও হার্টকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে পটল। পিত্তজ্বর ,কৃমি সারিয়ে তুলতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকরী পটল। ফ্রি রেডিকেলের বিস্তার রোধ করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পটল। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমানোর ক্ষেত্রে পটলের বীজ বেশ উপকারী। চুল পড়া কমাতে পটলের পাতার রস দ্রুত কাজ করে। সর্বগুণ সম্পন্ন এই সবজির একটি বিশেষ ইংরেজি নাম রয়েছে। আমরা অনেকেই তা জানিনা ,নামটি হল ‘পয়েন্টেড গর্ড।’