আজকাল প্রায় পৃথিবী সব প্রান্তের মানুষের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। গত এক দশকে এই ডিভাইস আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। এই বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে হ্যাকারদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে যে কোনো প্রকারে স্মার্টফোন হ্যাক করা। বর্তমানে নিয়মিত গোটা বিশ্বজুড়ে ফোন বা কম্পিউটার হ্যাকিং এর খবর আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।
এ ধরনের ঘটনা থেকে বারবার সকলকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়। আর কিভাবেই বা এর থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়। এখন গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে ডিজিটাল যুগ। তাই হ্যাকাররা স্মার্টফোনগুলি হ্যাক করার জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে মোবাইল হ্যাক করার জন্য হ্যাকাররা ট্রোজান বা কী-লগিং জাতীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করে অথবা কোন ফিশিং মেইল ব্যবহার করে।
এই কী-লগিং হল এক ধরনের স্পাইওয়্যার যা নজরদারির কাজ করে। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে হ্যাকাররা জানতে পারে যে আপনি ফোনের স্ক্রিনে কোথায় কি টাইপ করছেন বা ফোনে কার সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়াও হ্যাকাররা ট্রোজান সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোন থেকে ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আরো অনেক কিছুই চুরি করতে পারে। হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল ফিশিং আক্রমণ।
টোপ ফেলে যেমন মাছ ধরা হয় ঠিক তেমনি হ্যাকাররা ফিশিং মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে মানুষকে ফাঁদে ফেলে। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা একটি মেল বা মেসেজে অজানা লিংক পাঠায় এবং এতে ক্লিক করার সাথে সাথেই তার ম্যালওয়ার ইন্সটল হয়ে যায়। এছাড়াও স্মার্টফোন হ্যাকিং এর আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেমন-ব্লুটুথ হ্যাকিং, সিমকার্ড সোয়াপিং ইত্যাদি।
ফোন হ্যাক হওয়ার কিছু লক্ষণ:
আপনার ফোন হ্যাক হলে ফোনের ব্যাটারি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
ফোনটি খুবই ধীরগতিতে কাজ করবে এবং খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাবে।
স্মার্টফোনটিতে আপনার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ডেটা খরচ হবে।
আপনার হ্যান্ডসেটটি চলতে চলতে হঠাৎ করেই নিজে থেকে বন্ধ হয়ে, আবার নিজে থেকেই চালু হয়ে যাবে।
হ্যাকিংয়ের থেকে বাঁচার উপায়: হ্যাকিং এর থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চাইলে আপনাকে যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ফোনের সফটওয়্যার সবসময় লেটেস্ট ভার্সনে আপডেট করতে হবে। এছাড়াও আপনার ফোনে ব্যবহৃত অ্যাপগুলিও আপডেট করতে হবে। চট করে কোনো পাবলিক ওয়াইফাই, চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করবেন না।