আমাদের শরীরের জন্য গমের আটা দিয়ে তৈরি রুটি খুবই উপকারী। রুটিতে কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি উপস্থিত রয়েছে। যা শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং দেহের সামগ্রিক বিকাশের জন্য খুবই কার্যকরী। কিন্তু বাড়িতে এই রুটি তৈরি নিয়ে যেন ঝামেলার অন্ত নেই। কখনো রুটি বেলতে গিয়ে হয়ে যায় বিশ্বের মানচিত্র, আবার কখনো পাপড়ের মতন মুচ মুচে। আবার অনেকেরই রুটি বানানোর কিছুক্ষণ পরেই তা নাকি শক্ত হয়ে যায়।
তাই রুটি খেতে পছন্দ করলেও অনেকেই রুটি বানাতে খুব একটা পছন্দ করেন না। অনেকেই বিশেষ করে রাতের বেলায় রুটি খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু অনেক সময় আগের দিনের রুটি বেঁচে গেলে সেই রুটি ফ্রিজে রেখে দিলে পরের দিন তা এতটাই শক্ত হয়ে যায় যে ছেঁড়াই যায় না।
তাই আজকের প্রতিবেদনের রইল কয়েকটি অসাধারণ টিপস, এই টিপসগুলি মেনে চললে আগের দিনের তৈরি করে রাখা বাসি রুটিও নরম তুলতুলে হয়ে উঠবে।
আগের দিন রাতে তৈরি করে রাখা রুটি ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তুলে নিলেই রুটি একেবারে নরম তুলতুলে হয়ে যাবে।
এছাড়াও কড়াইতে এক টুকরো মাখন ফেলে সেই মাখনে বাসি রুটি ভেজে নিলেও রুটি খুবই সুস্বাদু ও নরম হয়ে উঠবে।
আগের দিন রাতে তৈরি করা রুটিগুলি হালকা গরম জলে একটি পাতলা কাপড় ভিজিয়ে, সেই কাপড়ের মুড়ে সামান্য কিছুক্ষণ রেখে দিলে রুটি হয়ে উঠবে একেবারে নরম তুলতুলে।
এছাড়াও বাসি রুটি খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। বাসি রুটিতে ফাইবার থাকে। বাসি রুটিতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।