টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র(sreelekha Mitra) নিজের সোজা সাপটা কথাবার্তার জন্য এবং তার নিজের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য চর্চায় থাকেন। টলিউড জগতের হয়েও তিনি অন্যদের থেকে অনেকটাই ভিন্নপ্রকৃতির।
যেখানে অন্যান্য অভিনেত্রীরা নিজেদের খামতি ,ত্রুটিগুলো মেকআপ এবং এডিটের মাধ্যমে লুকিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন শ্রীলেখা মিত্র সেখানে সবকিছু খোলামেলা ভাবে থাকতে পছন্দ করেন। ভুঁড়ি বেড়েছে, তবুও তার সেটা দেখাতে বিন্দুমাত্র ইতস্তত ভাব নেই তার মধ্যে।
মাঝে মাঝে তিনি দর্শকদের ট্রোলের সম্মুখীন হয়ে পড়েন। কিন্তু তবুও তিনি একদমই বেপরোয়া। শ্রীলেখা বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকেন। বিভিন্ন রকমের তথ্য শেয়ার করার সাথে সাথে বিভিন্ন রিল ভিডিও তিনি আপলোড করে থাকেন।
শ্রীলেখার বয়স নিয়ে অনেকেরই কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি লাইভে এসে নিজের ৫০ বছরের জন্মদিন পালন করলেন তিনি। মেয়েদের বয়স লুকাতে হয় এমন ধারণাই বিশ্বাসী নন তিনি।
‘পথের পাঁচালী’র সেই ছোট্ট অপুকে মনে আছে? বয়সের ভারে এখন কোথায় কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেতা?
সম্প্রতি অভিনেত্রী দাবি করে বসলেন তাকে ‘মমতা রোগে’ ধরেছে। শ্রীলেখা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিরর সেলফি আপলোড করেছেন। তিনি ধূসর শর্ট ড্রেস পড়ে ছবি তুলেছেন।
ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন “ভুঁড়িটা কমবে না মনে হচ্ছে। দিয়ে দি ড্রেসটা কাউকে? ট্যাগ এখনো খুলিনি। কোন অভিনেত্রী বোধহয় এরকম পোস্ট করেন না তাই না? কি করবো আমি? আমায় যে মমতা রোগে ধরেছে!”
এখানে একজন নেটিজেন কমেন্ট করেছেন অন্য কাউকে দেবেন কেন ভুঁড়িটাই কমিয়ে নিন। উত্তরের শ্রীলেখা লিখেছেন, সব মায়া ত্যাগ করেছি মন থেকে। শুধু ছাড়তে পারবো না নিজের ম্যাক লিপস্টিকগুলো। শ্রীলেখা নিজেই নিজেকে ‘কুমড়ো পটাশ ‘বলেও ঠাট্টা করেছেন। আবার অনেকে লিখেছেন, শ্রীলেখার এই সোজাসাপ্টা কথা খুবই ভালো লাগে।