বর্তমানে আপনাদের কাছে যেটি জিলিপি নামে পরিচিত সেটি মিশরের ইহুদিরা হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে ‘জালাবিয়া’ নামে যে মিষ্টি বানাত সেখান থেকে এসেছে ।এরকমই অনুমান করেছেন খাদ্য বিষয়ক গবেষকরা। আবার কেউ বলে জাহাঙ্গীরের আমলে মুঘল যুগে ‘জাহাঙ্গিরা ‘নামের একটি মিষ্টি তৈরি হতো। তারই বাংলা অর্থ জিলিপি। এই মিষ্টি তৈরির অবাক করা কারণের ইতিহাস অনেকের কাছেই আজও অজানা। কেন যে জিলিপ এর মধ্যে প্যাচ থাকে এটি জানার আগ্রহ মানুষের বহুকাল ধরে।
জনপ্রিয় এই মিষ্টি আসলে আড়াই প্যাচের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। মিষ্টিটি দেখতে ভারী অবাক করা কিন্তু খেতে দারুণ মজার। পুজোর সময় অথবা কোনো মেলায় জিলিপির দোকান থাকা অনিবার্য। কেন আড়াই প্যাচেই তৈরি করা হয় জিলিপি। এই মিষ্টিটির উৎস ও আড়াই প্যাচে তৈরীর কারণ নিয়ে অনেকের নানানরকম মত রয়েছে।
জিলিপির প্রধানত ময়দা ও চালের গুঁড়ো মিশিয়ে আড়াই প্যাচ দিয়ে তেলে ভেজে তারপর চিনির রসে ডুবিয়ে রেখে তৈরি করা হয়। এই কারণেই এটি এক একটা সাথে যুক্ত থাকে ও জায়গাও কম লাগে। কেউ বলেন প্রায় ৬০০ বছর আগে জিলিপির আবিষ্কার হয়েছিল। আবার কেউ বলে ‘অক্সফোর্ড কম্পানিয়ন টু ফুড ‘ বইতে লেখা জিলিপির কথা উল্লেখিত আছে।
কিন্তু কে বানিয়েছিল এই অসাধারণ সাধের মিষ্টিটি, তা নিয়ে আজও বিশাল তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে। তবে সবার কাছে এই অসাধারণ সাধের আড়াই প্যাচের সমন্বয়ে তৈরি মিষ্টিটির সম্পর্কে অজানা রহস্য আজও অজানাই রয়ে গেছে। তবে এটা স্পষ্ট যে এটি ভারতের তৈরি নয় ,এটি পশ্চিম এশিয়া থেকে এসেছে।