ছেলেদের ক্ষেত্রে শার্টের বোতাম ডানদিকে থাকে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে শার্টের বোতাম বামদিকে থাকে। ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে পোশাক নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে বহুযুগ ধরে। দুজনেই সমানভাবে নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে তৎপর। একসময় ছেলেদের পোশাক আর মেয়েদের পোশাক আলাদা থাকলে বর্তমানে আর এর কোন ভিন্নতা নেই, দুজনেই একই রকম পোশাক পরিধান করে থাকেন।
এখন’ ইউনিসেক্স’ ফ্যাশন চলছে সারা দেশজুড়ে। জিন্স থেকে শুরু করে চশমা, শার্ট ,টি শার্ট সহ অনেক ধরনের পোশাক ইউনিসেক্স। সারা দেশজুড়ে এই ফ্যাশন চললেও এখনো অনেক তফাৎ রয়ে গেছে। আগে ছেলেরা শার্ট পড়তো এখন মেয়েরাও শার্ট পরে। ছেলেদের এবং মেয়েদের শার্টের মধ্যে কিছুটা তফাৎ রয়েছে।
ছেলেদের শার্টের বোতাম থাকে ডানদিকে এবং মেয়েদের শার্টের বোতাম থেকে বামদিকে ।এর পিছনে রয়েছে কিছু কারণ….আগেকার দিনে পুরুষরা নিজেদের পোশাক নিজেরাই পড়তেন। কিন্তু সচ্ছল পরিবারের মহিলাদের পোশাক পরিয়ে দেওয়ার জন্য দাসী থাকতো। দাসীদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের শার্টের বোতাম বাম দিকে রাখা হতো। এছাড়াও জানা যায়, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট হুকুম দিয়েছিলেন মেয়েদের শার্টের বোতাম বাঁদিকে করার জন্য। নেপোলিয়নের স্টাইল যাতে কেউ অনুকরণ না করতে পারে তাই জন্য মহিলাদের শার্টে বেশি সংখ্যক বোতাম লাগানোর আদেশ জারি করেছিলেন তিনি।
বর্তমানে অনেক সময় দর্জিকে ছেলেমেয়েদের শার্ট একসাথেই তৈরি করতে দেওয়া হয়। সেই জন্য ছেলে ও মেয়ের শার্ট একসঙ্গে যাতে মিশে না যায় ,পৃথকীকরণের জন্যই দর্জি ছেলেদের শার্টের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের শার্টের বোতাম বাঁদিকে লাগান।
এছাড়াও আরেকটি কথা প্রচলিত আছে, ছেলেরা বাম হাত বেশি ব্যবহার করে বলে ডানদিকে বোতাম লাগানো হতো আর মহিলাদের জন্য বাঁ দিকে লাগানো হতো ।তার কারণ মহিলারা বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য তাদের শার্টের বোতাম খুলতে ডান ব্যবহার করতো তাই তাদের বোতাম বামদিকেই লাগানো হতো।